জানলা বন্ধ !LANDSCAPE RECOMMENDED!
 


স্বরলিপি প্রকাশ - পত্রিকা ও গ্রন্থ



রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি সম্পর্কিত তথ্যে অনেক পত্রিকা বা বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যেগুলি রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালে প্রকাশিত, এখানে সেগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হোলো। রবীন্দ্রনাথের প্রথম দিকের গানগুলির স্বরলিপি যখন লেখা ও প্রকাশ হচ্ছে, তখন কিন্তু বাংলা স্বরলিপি পদ্ধতির উদ্ভাবন ও বিবর্তনও চলেছে পুরোদমে। ঠাকুরবাড়ীর মানুষেরা, যথা দ্বিজেন্দ্রলাল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ইত্যাদি বেশ কয়েকজন এই প্রচেষ্টার পথিকৃৎ ছিলেন, তাই সে সময় ঠাকুরবাড়ীর প্রযোজনায় যে সব সাহিত্য বা ধর্মীয় পত্রিকা প্রকাশ হোতো-- তত্ত্ববোধিনী, সাধনা, ভারতী, বালক-- তার সব কটিতেই কোনো না কোনো সময়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি ছাপা হয়েছে। পরে অবশ্য প্রবাসী পত্রিকার পক্ষেও এটা সত্য। এই পত্রিকাগুলির তথ্য অন্যত্র পাওয়া যাবে, তাই এখানে দেওয়া হোলো না।

সঙ্গীত-সম্পর্কিত পত্রিকায়  প্রকাশিত:

আলাপিনী পত্রিকা: ঠাকুরবাড়ীর প্রকাশনা নয় তবে প্রসাদধন্য।

বীণাবাদিনী পত্রিকা: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় ১৩০৪ ও ১৩০৫-- এই দুই বছর এই সঙ্গীত বিষয়ক মাসিকপত্রটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ডোয়ার্কিন এণ্ড সন্। আকারমাত্রিক রীতি ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলা সঙ্গীত ও স্বরলিপি বিষয়ক প্রথম মাসিক পত্র। আর্থিক কারণে প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়, প্রকাশকরা এক মুখপত্রে বলছেন, "সঙ্গীত-প্রিয় ব্যক্তির নিকট ভিন্ন ইহা বিশেষ আদরণীয়া নহে, সুতরাং ইহার বহুল সংখ্যক গ্রাহক হইবে এরূপ আশা করা বৃথা...।" রবীন্দ্রসঙ্গীতের সবশুদ্ধ ৩৭টি স্বরলিপি পাওয়া যায়।

সঙ্গীত প্রকাশিকা: বীণাবাদিনী পত্রিকার পর ১৩০৮-১৩১৮ পর্যন্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন, প্রকাশক ভারত-সঙ্গীতসমাজ। এই পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ইন্দিরা দেবী, কাঙালীচরণ সেন, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-আদি বিশিষ্ট স্বরলিপিকারেরা রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি ছেপেছিলেন। ১৮৬টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি আছে।

আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা: প্রতিভা দেবী [হেমেন্দ্রনাথের কন্যা, প্রমথ চৌধুরীর ভাই আশুতোষ চৌধুরীর পত্নী] ও ইন্দিরা দেবী যুগ্ম-সম্পাদিকা, এই 'সঙ্গীত বিধায়িনী' মাসিক পত্রিকার প্রথম প্রকাশ শ্রাবণ ১৩২০ সালে। অধিকাংশ স্বরলিপি এঁদেরই করা, বাকী কিছু স্বরলিপি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অশোকা দেবী ও ব্রজেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি কৃত। কিছু স্বরলিপিতে রচয়িতার নাম অনুল্লিখিত। প্রতিভার সব স্বরলিপিতে রাগ-তালের নির্দেশ পাওয়া যায়, ইন্দিরা দেবীর স্বরলিপিতে তা নয়। ১৩১৪ সালে 'গান' গীতগ্রন্থ প্রকাশকালে রবীন্দ্রনাথ এমনই নীতি স্থির করে দেন। বাল্মীকি প্রতিভা গীতিনাট্যের প্রতিভাদেবী-কৃত সব স্বরলিপি এখানে প্রকাশিত হয়, "ফাল্গুনী" নাটকের ১৩টি স্বরলিপি ও রবীন্দ্রনাথের প্রসিদ্ধ প্রবন্ধ "সঙ্গীতের মুক্তি'ও এখানেই ছাপা হয়। প্রতিভা দেবীর মৃত্যুর পরেও আশুতোষ চৌধুরী কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ করেছিলেন।

গ্রন্থাকারে প্রকাশিত:

স্বরলিপি গীতিমালা: [আমাদের 'গীতিমালা'] ১৩০৪ সালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক 'সংকলিত ও ব্যাখ্যাত' স্বরলিপি সংগ্রহের পূর্ণাঙ্গ বই, চার খণ্ডে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের ১১৬টি গানের স্বরলিপি ছিল, আর ছিল অন্য গীতিকারদের রচনা, তার মধ্যে ঠাকুরবাড়ীর অন্যান্যদের গানই বেশী। এই বইটির বিশেষ আকর্ষণ ছিল আকারমাত্রিক স্বরলিপি রীতি, যেটি সামান্য রদবদল হয়ে আজ পর্যন্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপিতে চলে আসছে, তার নিয়মাবলী ও বিশদ ব্যাখ্যা। এই প্রথাটির প্রবর্তনে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন পথিকৃৎ। এছাড়া সহজ উপায়ে লয় নির্দেশের এক রীতিও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ব্যাখ্যা করেন, কিন্তু সেই রীতিটির খুব একটা প্রসার হয়নি। বইটির তিনটি সংস্করণ হয়, শেষটি ১৩৪৯ সালে। এর থেকে অনুমান করা যায় যে বইটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো।

শতগান: ১৩০৭ সালে সরলা দেবী [স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা] কৃত স্বরলিপির এই বইটি প্রকাশিত হয়, রবীন্দ্রনাথের ২০টি গান, 'বন্দে মাতরম্' গানের প্রথম স্তবক, 'য আত্মদা বলদা' বেদগান ও অন্যান্য কয়েকজন রচয়িতার (দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন প্রমুখ) গানের স্বরলিপি নিয়ে। রীতি ছিল সংখ্যামাত্রিক। আকারমাত্রিক রীতির সঙ্গে এই রীতিটির অনেক পার্থক্য, প্রধানটি হোলো আকারমাত্রিকে যেমন "সা রা -া -া" লেখা হয় তেমন না করে এখানে লেখা হয় "স র ", এই বিশেষত্বটি এই রীতির নামকরণের কারণ।  বইটির তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়, তার শেষটি ১৩৩০ সালে।।

সম্প্রতি (২০১২) কুমকুম ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় "শতগানের" স্বরলিপিগুলিকে আকারমাত্রিক রূপ দিয়ে বইটির একটি নূতন সংস্করণ প্রকাশ করেছেন সুবর্ণরেখা পাবলিশার্স।

ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি: প্রধানত রবীন্দ্রসঙ্গীত-স্বরলিপি সংবলিত ছ খণ্ডের এই বইয়ের স্বরলিপিকার,আদি ব্রাহ্মসমাজের নিয়মিত গায়ক, কাঙালীচরণ সেন, প্রকাশক আদি ব্রাহ্মসমাজ। ১৩১১ সালের মাঘমাসে প্রথম খণ্ডটির প্রকাশ, শেষ খণ্ডটি ১৩১৮ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে, সব মিলিয়ে ১৯৮টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের ধারক। ভূমিকায় কাঙালীচরণ লিখছেন, "শ্রীযুক্ত বাবু জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিপেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহোদয়গণ ...[স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশে] আমাকে যথেষ্ট উত্সাহ প্রদানপূর্বক এই গ্রন্থ মুদ্রাঙ্কনের ব্যয়ভার স্বীকার করায় আমি ইহা সাধারণের সমীপে প্রকাশ করিতে সাহসী হইলাম।" এছাড়া প্রতি খণ্ডের ভূমিকাতেই তিনি সংশোধন, প্রুফ দেখা, উত্সাহ দান ও আনুকূল্যের জন্য জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে মুক্তকণ্ঠে ঋণ স্বীকার করেছেন।

গীতলিপি: বিষ্ণুপুর ঘরানার গুণী সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছয় খণ্ডে ৯৪টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি করে প্রকাশ করেন, কাল ১৯০৮-১৯১৮ সাল। এই বইগুলি সম্পূর্ণ রবীন্দ্রসঙ্গীতে নিবদ্ধ, তার বেশীর ভাগই গীতাঞ্জলির গান। তার মধ্যে কিছু স্বরলিপি আবার সঙ্গীত প্রকাশিকা পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময়টা কবির 'গীতাঞ্জলি'-কাল বলে চিহ্নিত করা যায়। স্বরলিপির মাধ্যমে তাঁর গানের সুর রক্ষার ব্যাপারে কবি সচেষ্ট হন। এ নিয়ে সুরেন্দ্রনাথের চমত্কার স্মৃতিচিত্র আছে একটি চিঠিতে।  

সুরেন্দ্রনাথ লিখছেন, "তখন আমি আদি ব্রাহ্মসমাজে সংগীতাচার্যের কাজ করি, বোধ হয় ১৯১০ সাল হবে।... খবর পেলাম কবিগুরু আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন শান্তিনিকেতনে যাবার জন্য, সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সুরবাহার যন্ত্রটি।

... আমি যেতেই তিনি বললেন, 'শুনেছি তুমি স্বরলিপি দ্রুত লিখতে পার। আচ্ছা আমি গাই, তুমি এই কাগজ কলম নিয়ে স্বরলিপি কর।' ... বিশ্বকবি গাইতে আরম্ভ করলেন 'বাজে বাজে রম্যবীণা'। আমার আঙুলচালনা দেখে দিনুবাবু সবিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন। খুব অল্পক্ষণের মধ্যেই গানটির স্বরলিপি যথার্থভাবে হয়ে গেল, এবং কবিগুরুকে শোনালাম। তিনি খুব আনন্দিত হয়ে দিনুবাবু প্রভৃতিকে বললেন, 'দেখলে সব বিষয়েই যথার্থ শিক্ষা ও সাধনা চাই।'"

প্রায়শ্চিত্ত: নাটকের ২৩টি গানের সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি, প্রকাশ ১৩১৬ সাল। "গীতলিপি" দ্রষ্টব্য।

গীতলেখা: তিন খণ্ডে ১৩২৪-১৩২৭ সালে প্রকাশিত, স্বরলিপির সংখ্যা ৮১। প্রত্যেক খণ্ডেই স্বরলিপিকার বলে নাম আছে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কিন্তু প্রফুল্লকুমার দাস জানাচ্ছেন যে দ্বিতীয় খণ্ডের অন্তত দশটি এবং তৃতীয় খণ্ডের অন্তত বারোটি গানের ইন্দিরা দেবী-কৃত হুবহু স্বরলিপি আগে আনন্দসঙ্গীত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বইতে এ কথা উল্লেখিত হয়নি।

গীতপঞ্চাশিকা:   ৫০টি গানের (ও একটি সুরান্তর) দিনেন্দ্রনাথ-কৃত স্বরলিপি, আশ্বিন ১৩২৫ সালে প্রকাশ।

বৈতালিক: ১৩২৫ চৈত্রে প্রকাশ, ৩৫টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের (ও একটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথের) দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বরলিপিকার বলে উল্লিখিত কিন্তু উনত্রিশটি স্বরলিপি কাঙালীচরণ সেন প্রণীত ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপিতে হুবহু পাওয়া যায়।

এর পরবর্তী কালে প্রকাশিত স্বরলিপি বইয়ের তালিকা:

বইয়ের নাম প্রথম প্রকাশ সংখ্যা মুখ্য স্বরলিপিকার
কেতকী শ্রাবণ ১৩২৬ ৩১+২ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেফালি ১৩২৬ ভাদ্র ২৮ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগীতি ১৩২৬ পৌষ ২৩ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতবীথিকা ১৩২৬ ২১ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
নবগীতিকা - ১ [১] ১৩২৯ ৩৪ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
নবগীতিকা - ২ ১৩২৯ ৫৯ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বসন্ত ১৩৩০ ২৩+১ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মায়ার খেলা ১৩৩৩ সম্পূর্ণ ইন্দিরা দেবী
গীতমালিকা - ১ ১৩৩৩ ৪০ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর [২]
গীতমালিকা - ২ ১৩৩৬ পৌষ ৫০ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর [২]
সংগীতগীতাঞ্জলি ১৯২৭ ৯৮ ভীমরাও শাস্ত্রী [৩]
বাল্মীকি প্রতিভা ১৩৩৫ আশ্বিন সম্পূর্ণ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
নৃত্যনাট্য শ্যামা ১৩৩৬ ভাদ্র সম্পূর্ণ সুশীলকুমার ভঞ্জচৌধুরী
তপতী ১৩৩৬ ১০ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
Twentysix songs of
Rabindranath Tagore
১৯৩৫ ২৬ এ. এ. বাকে [৫]
স্বরবিতান - ১ [৪] ১৩৪২ ভাদ্র ৫০ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা ১৩৪৩ বৈশাখ সম্পূর্ণ শৈলজারঞ্জন মজুমদার
স্বরবিতান - ২ [৪] ১৩৪৩ চৈত্র ৫০ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্বরবিতান - ৩ [৪] ১৩৪৫ বৈশাখ ৫০ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা ১৩৪৫ চৈত্র সম্পূর্ণ শৈলজারঞ্জন মজুমদার
স্বরবিতান - ৪ [৪] ১৩৪৬ ভাদ্র ৫০ কাঙালীচরণ সেন
স্বরবিতান - ৫ [৪] ১৩৪৯ জ্যৈষ্ঠ ৫০+১ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিসর্জন ১৩৪৯ চৈত্র শৈলজারঞ্জন মজুমদার
     

১৩৪৯-১৩৫৪ পর্যন্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত-স্বরলিপির আর কোনো পূর্ণাঙ্গ বই প্রকাশিত হয়নি। ১৩৫৪ থেকে বিশ্বভারতীর "স্বরলিপি সমিতি'র তত্ত্বাবধানে স্বরবিতান খণ্ডে খণ্ডে প্রকাশিত হয়। তার বিবরণ এই তথ্য সম্ভারের অন্যত্র দেওয়া হয়েছে।

উত্স:
প্রফুল্লকুমার দাস, রবীন্দ্রসংগীত স্বরলিপি - সম্পাদনা ও প্রকাশনার ইতিবৃত্ত, রবীন্দ্র ভাবনা, মার্চ ১৯৮৮
প্রবীর গুহ ঠাকুরতা, রবীন্দ্রসঙ্গীত মহাকোষ -১, দে'জ, ২০০৮

__________________________________________

[১] - দিনেন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়, তাতে দিনেন্দ্রনাথকৃত স্বরলিপির অল্পবিস্তর পরিবর্তন দেখা যায়।
[২] - প্রথম সংস্করণে স্বরলিপিকারের নামোল্লেখ ছিল না।
[৩] - এটি দেবনাগরী হরফে ছাপা হয়।
[৪] - পরবর্তী সংস্করণে গান যোগ বা বাদ দেওয়া হয়।
[৫] - স্টাফ নোটেশন।  
+ - মূল সুর + সুরান্তর